ইন্দু ভাবে অন্ধকারে বসে,
"কবে আসবে রাজার চিঠি?"
মুখ তুলে আকাশপানে চায় -
অনন্ত নীলিমার বুকে
সাদা মেঘের অক্লান্ত আনাগোনা।
বসন্ত যায়।
প্রবল দাবদাহে শুকিয়ে ওঠে বিশ্ব চরাচর।
সে ভাবে, "সত্যিই কি চিঠি যায় অনন্তের কাছে?" -
ফুলের রেণু দিয়ে লেখা - পরাগের খামে পাঠানো
সেই চিঠি!
নাকি...
সবই অলীক কল্পনা মাত্র?
ভাবনা শেষ হয় না -
কড়্ কড়্ শব্দে কেঁপে ওঠে মাটি -
"ওই বুঝি! ওই এলো -"!
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে ধরার বুকে,
আকাশ ফুঁড়ে শত শত পত্রবাহক নেমে আসে,
তার চিঠির খাম নিয়ে।
এক ফোঁটা জল মাটি চুঁয়ে এসে পড়ে ইন্দুর কোলের কাছে।
সেই নীল খাম খুলতেই মেলে আলোর অক্ষরে,
একটা ছোট্ট গাছের বীজকে লেখা
অনন্ত আকাশের চিঠি।
ইন্দু খুশিতে আকাশ পানে মেলে ধরে নিজেকে -
বৃষ্টি থেমে, তার মাথার ওপরটা আলোয় আলোয় ভরে ওঠে।
" ভুবন বলে, তোমার তরে আছে বরণ ডালা
গগন বলে, তোমার তরে লক্ষ প্রদীপ জ্বালা"...
Comments